মুসলমানদের সেবাযত্ন ও খেদমতে হজ্ব ও তাওয়াফ থেকে অধিক সওয়াব হাসিল হয়




মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
----------------------------------------------------------------------------------------------------

ঐতিহ্যবাহী দারুলউলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার চতুর্থ মুহতামিম হজরত মাওলানা হাফেজ আহমদ (রহঃ)যে বছর হজ্বে গিয়েছিলেন সে-বছরই মক্কা নগরীতে কলেরা দেখা দিয়েছিল।
অসংখ্য হাজ্বী সে রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তার সফরসঙ্গী প্রায় সকলেই সে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর তিনি তাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
কাউকে ওষুধ পান করানো, কারো খাবার তৈরি করা, কারো লোটায় পানি ভরে দেওয়া ই ছিল মাওলানা হাফেজ আহমদ (রহঃ) এর কাজ।
উক্ত কাজগুলো করার কারণে তিনি তাওয়াফ করতে পারতেন না,হেরেম শরীফে ও উপস্থিত হতে পারতেন না।
এ-ই পরিস্থিতিতে তিনি তার শায়খ হাজ্বী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ)এর কাছে নিজের অবস্থা বর্ননা করে বলেন, হজরত আমার তো এখানে আসা না আসা সমান ই হলো, না তাওয়াফ করতে পারি, না মদিনায় যেতে পারি।
এখানে আমার হয়তো কারো ওষুধের ব্যবস্থা করতে হয়,না হয় কারো খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়।
হাজ্বী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ) হাফেজ মাওলানা আহমদ (রহঃ) এর আঙ্গুলে চাপ চাপ দিয়ে বললেন, বেটা!তুমি এটা কি বললে? হজ্ব এবং তাওয়াফ নিশ্চয়ই এবাদত।
কিন্তু এ-র চেয়ে বড় এবাদত হলো মুসলমানদের খেদমত ও সেবাযত্ন করা।
হজ্ব ও তাওয়াফে যে পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে এখানে এ-র চেয়ে ও অধিক সওয়াব হাসিল হবে।

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
যুগ্ম সম্পাদক
ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আল্লামা সিরাজী(রহঃ)র' দোয়া মাহফিলে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী

এশকে রাসুল ও আশেকে রাসুলের পরিচয়