মাহে রমজানের ৪ (চার)টি আমল



-----------------------------------------

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান

রমজান মাসের গুরুত্ব কতো বেশি তা অনুধাবন করা অসম্ভব। রমজান মাস আসার দুইমাস আগ থেকে ই রাসুল (সা:)রমজান মাস প্রাপ্তির দোয়া করতেন।তিনি বলতেন " হে আল্লাহ! আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের পৌছিয়ে দাও।

এই বরকতময় মাসে একটি নফল এবাদত করিলে অন্যমাসের একটি ফরজ এবাদতের সমতুল্য হয়ে যায়।এই মাসে একটি ফরজ আদায় করিলে অন্যমাসের সত্তরটি ফরজ আদায়ের সমতুল্য হয়ে যায়।
রমজান মাস সবরের মাস। আর সবরের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত।
যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে পানি পান করাবে আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন তাকে রাসুল (সা:)এর হাত মোবারকের দ্বারা হাউজে কাউসারের পানি পান করাবে যা সে জান্নাতে যাওয়া অবধি পিপাসিত হবেনা।
রমজান মাসে চারটি কাজ অত্যন্ত একনিষ্ঠতার সাথে করা উচিৎ

(১)কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ বেশি বেশি পড়া।
(২)অধিকতর ইস্তেগফার করা
(৩) আল্লার কাছে জান্নাত কামনা করা
(৪) জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা।
রমজান মাসে যতরকমের এবাদত আছে যেমন রোজা রাখা,তারাবীহ পড়া,কোরআন তেলাওয়াত করা, তাহাজ্জুদ আদায় করা,সাহরী ইফতার, যিকির আযকার, দান সদকাহ সহ সকল এবাদত অত্যন্ত এখলাসের সাথে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় করা উচিৎ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে এখলাসের সাথে রমজান মাসে বেশি বেশি এবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুণ, আমিন।


লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান যুগ্মসম্পাদক
ইসলামীঐক্যজোট
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আল্লামা সিরাজী(রহঃ)র' দোয়া মাহফিলে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী

এশকে রাসুল ও আশেকে রাসুলের পরিচয়