ইসলামে কথা বলার পদ্ধতি
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বান্দাহর জন্য সীমাহীন নেয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম এক খাস নেয়ামত হল কথা বলা। সৃষ্টিকূলের অসংখ্য মাখলুকের মধ্যে আল্লাহতায়ালা একমাত্র তার বান্দাহকে তথা মানবজাতিকে ই কথা বলার ক্ষমতা দান করেছেন।
কথা কিভাবে বলতে হবে, কোন সময় কি কথা বলতে হবে, কার সামনে কি কথা বলতে হবে তার বিধান ও আল্লাহতায়ালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা একদিকে যেমন কথা বলার ক্ষমতা দান করেছেন ঠিক অন্যদিকে কথা বলার পদ্ধতি কি হবে তাও বলে দিয়েছেন। একজন মানুষ অপর মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলবে সেবিষয়ে ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
মহাগ্রন্থ কুরআন শরীফের অগণিত আয়াত সমূহের দ্বারা বান্দাহকে আল্লাহতায়ালা সেই কথা বলার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন।
আসুন,জেনে নেই কুরআন শরীফের আয়াত সমূহের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই কিভাবে কথা বলতে হবে।
১. কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। (সূরা নূরঃ ৬১)।
২. সতর্কতার সাথে কথা বলা (কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হয়)
( সূরা ক্বফঃ ১৮) ।
৩. সুন্দরভাবে ও উত্তমরূপে কথা বলা। ( সূরা বাক্বারাহঃ ৮৩; বুখারী হ/ ১৪১৩) ।
৪. অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করা। ( সূরা নূরঃ ৩; বুখারী হা/ ৩৫৫৯) ।
৫. কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলা। ( সূরা লুকমানঃ ১৯ সূরা হুজুরাতঃ ২ - ৩)।
৬. বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলা। ( সূরা নামলঃ ১২৫)।
৭. সঠিক কথা বলা ও পাপ মোচনের দুয়ার উন্মুক্ত করা ।
(সূরা আহযাবঃ ৭১ - ৭২) ।
৮. গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা না বলা। ( সূরা লুকমানঃ ১৯;) ।
৯. উত্তম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করা
( সূরা হা- মীম সাজদাহঃ ৩৪) ।
১০. উত্তম কথায় দাওয়াত দেয়া।
( সূরা হা- মীম সাজদাহঃ ৩৪) ।
১১. ঈমানদারদের কথা ও কাজ এক হওয়া। ( সূরা ছফঃ ২) ।
১২. পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমার নীতি অবলম্বন করা ।
( সূরা অারাফঃ ১৯৯) ।
১৩. মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ও কোমল ভাষায় কথা না বলা। ( সূরা আহযাবঃ ৩২) ।
১৪. ছেলেরা পর নারীর সাথে আকর্ষণীয় ও কোমল ভাষায় কথা না বলা।
১৫.মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা। ( সূরা ফুরকানঃ ৬৩) ।
(১৬) হাসি মুখে কথা বলা।
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে আল্লাহতায়ালা বিধিবিধান মতো কথা বলার তাওফিক দান করুণ।
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
যুগ্ম সম্পাদক
ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন