দান-সদকাহ দ্বারা বিপদাপদ দূরীভূত হয়
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
------------------ ----------------- --------- ---------
মুমিন মুসলমানদের জন্য সময় অত্যন্ত দামী ও মহা মূল্যবান। মুমিনের প্রতিটি মুহুর্তই নেকি আহরণের মুহূর্ত। সকল নেক কাজের জন্য অধিক সওয়াব অর্জনে সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। মুমিন মুসলমানদের জন্য অন্যান্য এবাদতের পাশাপাশি দান-সদকাহ ও এক গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। দান-সদকাহ দ্বারা সকল বিপদাপদ দূর হয়ে যায়।রাসুল(সা:)ছিলেন বড়ই দানশীল।তিনি অধিকপরিমাণে দান-খয়রাত করতেন।
রাসুল(সা:)এমনিতে ই সর্বাধিক দানকারী ছিলেন,রাসুল (সা:)এর হস্ত মোবারক অধিকতর দান করতেন।
এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)হতে বর্ণীত, রাসুল (সা:) বলেন, দান-সদকাহ দ্বারা সম্পদ কমেনা বরং আল্লাহতায়ালা তা বাড়িয়ে দেন।
যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজের অর্থ সম্পদ দান করে তাদের দানের উদাহরণ হলো একটি বীজের মতো। যা থেকে সাতটি শিষ বা ছড়া জন্মায়। প্রত্যেকটি ছড়ায় একশত করে দানা থাকে। আল্লাহতায়ালা যাকে ইচ্ছা আরো বেশি দান করেন,আল্লাহ অতি দানশীল ও সর্বজ্ঞ।(সুরা বাকারাহ-১৬১)।
দান সদকাহ দ্বারা গুনাহ মাফ হয়।দান সদকাহ দ্বারা বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বর্তমান করোনা মহামারী সহ বিভিন্ন বিপদাপদ আমাদের ঘিরে রেখেছে।
একেরপর এক বালামুসিবত ধেয়ে আসছে।
তাই আমাদের এই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে দান সদকাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আসুন! দান সদকাহ দ্বারা আমরা আমাদের আল্লাহকে সন্তুষ্ট করি। বিপদাপদ থেকে উদ্ধার হয়।
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
উস্তাদ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়, কাজীপাড়া ব্রাক্ষণবাড়ীয়া

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন