পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহঃ

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান ........................................... ........................................... আলেম-উলামাগণ হলেন নবীগণদের ওয়ারিশ বা প্রতিনিধি। সে ধারাবাহিতায় আলেম-উলামাগণ যুগে যুগে মানবজাতির কাছে ইসলামের সুমহান আদর্শ ও সঠিক মর্মবাণী প্রচার-প্রসারে দায়িত্ব পালন করে আসছে। পথহারা মানবজাতিকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে দিয়েছেন সঠিক দিকনির্দেশনা। বস্তুত আলেম উলামাদের সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষার কারণেই মানবজাতি আজ ইসলামী আদর্শে আদর্শবান। আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসারে যে সকল আলেম-উলামা অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার কৃতী সন্তান আল্লামা তাজুল ইসলাম এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আল্লামা তাজুল ইসলাম ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম ইসলামী ব্যক্তিত্ব, মুফাসসিরে কোরআন, মুহাদ্দিস, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, জাতীয় আজাদী আন্দোলনের অন্যতম বীর সৈনিক।  ইসলামী জ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছিল তার পাণ্ডিত্য।  বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শ কৃষ্টি-কালচার শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তিনি যে উজ্জ্বলময় অবদান রেখে গেছেন তা সত্যিই এ দেশের ইসলামপ্রিয় জনতার জন্য অত...

আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ব্যাবসা করিলে জান্নাত সুনিশ্চিত

মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান  ------------------------------------------------------------------------------------------------------------ ইসলামে হালাল ব্যাবসার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের সেবার নিয়তে হালাল ব্যাবসা ও এবাদতের অন্তর্ভুক্ত। ব্যাবসা করার সময় ক্রেতাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করলে বিক্রেতার প্রতি আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জান্নাত দান করেন।    ব্যাবসাকে আল্লাহতায়ালা হালাল ঘোষণা করে পবিত্রকুরআন শরীফে এরশাদ করে বলেন, আল্লাহতায়ালা ব্যাবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন। ( সুরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৫)।  যে ব্যাবসায়ী আল্লাহর বিধিমালা মেনে ব্যাবসা করে  সে আল্লাহর নিকট অত্যন্ত মর্যাদাবান।  যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ব্যাবসা করে তাদের প্রশংসা করে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ করেন,  " সেই লোক যাদেরকে ব্যাবসা বানিজ্য, ক্রয় বিক্রয়ে আল্লাহর স্বরণ হতে এবং সালাত কায়েম (নামাজ) ও যাকাত প্রদান হতে বিরত রাখেনা,  তারা ভয় করে সেই দিনকে যেইদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে "( সুরা নূর, আয়াত ৩৭)।  একজন সৎ  ব্যাবসায়ী মানুষকে ওজনে কম ...

সমালোচনা নিয়ে মুফতী আমিনী( রহঃ) এর জবান থেকে শুনা একটি গল্প

এক বেটা তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে সফরে বের হলেন। সাথে রয়েছে একটি ঘোড়া।  সন্তানকে ঘোড়ায় উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে লোকেরা বলল সন্তান টা কত বড় বেয়াদব, মা বাবা একে পায়ে হেটে যাচ্ছে আর নিজে ঘোড়ার উপরে বসে যাচ্ছে। লোকদের কথা শুনে সন্তানকে নামিয়ে তখন ঐ বেটা তার স্ত্রীকে ঘোড়ায় বসিয়ে সন্তান সহ পায়ে হেটে যাচ্ছে, কিছুদূর যাবার পর লোকেরা বলল স্ত্রীর আদবকায়দা বলতে নেই,স্বামী সন্তানকে পায়ে হাটিয়ে নিজে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছে। একথা শুনে স্ত্রীকে নামিয়ে নিজে ঘোড়ায় বসে চলছে। কিছুদূর যাবারপর লোকেরা বলল লোকটা কতো নির্দয়, স্ত্রী, সন্তানকে পায়ে হাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর নিজে ঘোড়ায় আরামে বসে যাচ্ছে। একথা শুনে লোকটা নেমে গেল। তারপর স্ত্রী,সন্তান সহ নিজে পায়ে হেটে যাচ্ছে,  সামনে যাওয়ার পর লোকেরা বলল লোকটি কত বেকুব,  সাথে ঘোড়া থাকার পর ও সবাইকে নিয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের সমালোচকদের সমালোচনার দৃশ্য। মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান    

পরস্পরের মাঝে সহমর্মিতা ও ভালবাসা সৃষ্টিতে সালামের ভূমিকা

ইসলাম পরিপূর্ণ মানব ককল্যাণকর একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। মানব জীবনের সকল কাজকর্মে ইসলাম সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। মানবসমাজে সহমর্মিতা ও ভালবাসা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ইসলাম যেসমস্ত আচরণবিধির নির্দেশনা প্রদান করেছে ‘সালাম ও মুসাফাহ’ তার মধ্যে অন্যতম। সালাম শব্দের অর্থ শান্তি। ইসলামের পরিভাষায় সালাম হচ্ছে এক বিশেষ দোয়া। যা একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাতকালে অভিবাদন হিসাবে বিনিময় হয়ে থাকে। ইসলাম পূর্ব আরবসমাজে অভিবাদন জানানোর জন্য ও তারা এমন কিছু বাক্য ব্যবহার করতো যা সালামের মতো এমন সুন্দর অর্থবহ ছিলনা। কিন্তু রাসুল (সা:) তাদের অর্থহীন বাক্য পরিহার করে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ এর প্রচলন শুরু করেন। আল্লাহতায়ালা ও পবিত্র কোরআন শরিফে মুমিনদেরকে সালাম দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুরা আনআমের ৫৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মোহাম্মদ (সা:) কে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, যারা আমার আয়াতের উপর বিশ্বাস আনয়ন করে তারা যখন আপনার নিকট আসবে আপনি তখন তাদের বলুন সালামুন আলাইকুম। বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সা:) ও সালাম প্রদানের বিষয়ে অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। হজরত আনাস (রা:) বলেন, রাসুল (সা:) আমাকে বলেছ...

ভালবাসাহীন আনুগত্য অর্থহীন

এক ব্যক্তি তার প্রতিদিনের করণীয় কাজগুলোর তালিকা তার গোলামকে কাগজে লিখে দিল।গোলামের প্রতি এই নির্দেশ দিল যে, সে যেন এর বাইরে কোন কাজ না করে। একবার মুনিব এবং গোলাম কোথাও সফরে বের হলেন।মুনিব ঘোড়ায় চলছিলেন আর গোলাম পেছনেপেছনে হেটে আসছিল। পথে প্রচণ্ড শীত পড়ায় মুনিব তার চাদর তালাশ করছিলো। গোলামকে চাদরের কথা জিজ্ঞেস করায় গোলাম তার কাগজে লিখিত তালিকা দেখিয়ে বললেন এখানে চাদরের কথাটি লেখা নেই বিধায় আমি চাদর টি পড়ে যেতে দেখে ও উঠিয়ে রাখেনি। গোলামের এই কথা শুনে মুনিব তার কাগজ এনে তাতে লিখে দিল যে,পথে কিছু পড়ে গেলে তা উঠিয়ে নিবে। কিছুদূর যাবার পর গোলাম তার মালিকের কাছে একটা পুটলি দিল। মালিক খুলে দেখল তাতে ঘোড়ার লেদায় ভরপুর। মালিক বলল এগুলো জমা করলে কেন? গোলাম উত্তরে বলল, আপনি ই তো লিখে দিলেন কিছু পড়ে গেলে উঠিয়ে নিতে,তাই ঘোড়ার লেদাগুলো যখন পড়ে যাচ্ছিল তখন আমি তা উঠিয়ে রেখেছি।  এই ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে শুধু বেতনভূক্ত ও লাভজনক কারণে হয়ত সাময়িক আনুগত্যে বাধ্য করা যায় কিন্তু হৃদয় থেকে নিঃশর্ত আনুগত্য করানো যায়না। শ্রদ্ধা, ভালবাসাহীন নিঃশর্ত আনুগত্য অর্থহীন। ভালবাসা ছাড়া নিঃশর্ত আনুগত্য হয়না।...

মুফতী আমিনী(রঃ) থেকে শুনা কিছু গল্প

  ওয়াজ নসিহত,  ইসলাহী বয়ান, অথবা রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশলায় মানুষ যেন হুজুরের বয়ান বুঝতে পারে সেজন্য মাঝেমধ্যে উপমা স্বরূপ কিছু শিক্ষনীয় গল্প বলতেন।  আমার ডায়রিতে কিছু গল্প নোট ছিল, তা থেকে  আজ ৩টি গল্প লিখে নিলাম  (১)  একটি কাক একটুকরো গোশত নিয়ে গাছের উপর বসে রইল। ঐসময় একটি শেয়াল কাকের মুখে গোশত দেখে তার লোভ হলো। গোশত হাসিলের লোভে শেয়াল তখন কাকের খুব বেশি প্রশংসা করতে লাগলো। বললো, তুমি খুব সুন্দর, কি বিশাল তোমার দেহ, কালো কুচকুচে তোমার রঙ,তোমার চোখ দুটি ও খুব সুন্দর, এতো গুণ থাকার পর ও তোমাকে বনের রাজা না বানিয়ে অন্যায় করা হয়েছে।  তোমার দেহের মতো যদি তোমার গলার স্বরটি ও সুন্দর হয় তবে আমি তোমাকে বনের রাজা বানাবো।  একথা শুনে কাক কা কা ডেকে উঠলো। আর সে ফাঁকে ঠোঁট থেকে গোশতের টুকরো পড়ে গেল।সাথে সাথেই  শেয়াল গোশত নিয়ে দৌড় দিল আর বলল তোমার অন্য গুণের মতো যদি তোমার মাথায় বুদ্ধি থাকতো  তাহলে তুমি বনের রাজা হতে পারতে। (২)  একবার একগ্রামে খিচুড়ি পাকানো হল। ডেকচিতে ঢাকনা রাখা নিয়ে দুই মাতাব্বরের তর্ক বির্তক শুরু হয়ে গেল। ঢাকনা নিয়ে এক পর্যায়...

এক মহিলার নবীপ্রেম

ছবি
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান  উহুদ যুদ্ধ শেষে খবর আসলো বিশ্ব নবী মোহাম্মদ (সাঃ)কে হত্যা করা হয়েছে। রাসুল (সাঃ)এর হত্যার খবর শুনে এক মহিলা পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে লাগলো। পথে মুসলিম সৈন্য বাহিনীর সাথে ঐ মহিলার সাক্ষাৎ। মুসলিম সৈন্যদের ঐ মহিলা জিজ্ঞেস করল হে সাহাবীরা! আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কেমন আছে? সাহাবীরা বললেন, তুমার ছেলে শহীদ হয়েছে। মহিলা বললো আমার ছেলে শহীদ হয়েছে কিনা তা জানতে চাইনি, তোমরা বলো রাসুলুল্লাহ কেমন আছেন? সাহাবীরা বললেন রাসুল (সাঃ)ভালো আছেন।  সামনে যাওয়ার পর অন্য সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলো রাসুলুল্লাহ কেমন আছেন? উত্তরে বলা হলো তোমার স্বামী শহীদ হয়েছে। মহিলা বললো তোমাদেরকে আমার স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করিনি,বলো রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কেমন আছেন? বলা হলো রাসুল সুস্থ আছেন।  আরেকটু অগ্রসর হওয়ার পর সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলো রাসুলুল্লাহ কেমন আছেন? উত্তরে তারা বললেন, তোমার বাবা শহীদ হয়েছে। মহিলা বললো আমাকে বলো রাসুলুল্লাহ সাঃ কেমন আছেন? সাহাবীরা মহিলাকে বললেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জীবিত আছেন , সুস্থ আছেন। একই যুদ্ধে মহিলার পিতা,স্বামী, ছেলে শহীদ হয়েছে কিন্তু মহিলা বিন্দুমাত্র কষ্ট অনুভব ...

সুন্দরসমাজ বিনির্মানে নামাজের ভূমিকা

ছবি
    মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান আল কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, অবশ্যই সফলকাম হয়েছে সেই মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনয়ী এবং যারা পাপাচার থেকে বিরত থাকে।  মানুষকে সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে নামাজ। নামাজ কায়েম কর নিশ্চয়  নামাজ সকল অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।নামাজ মানুষ কে পূত পবিত্র করে। নামাজের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে।আল্লাহর সাথে বান্দাহর সম্পর্ক গভীর করে নামাজ। আজ আমাদের সমাজে অশান্তির মূল ই হলো  অশ্লীল ও মন্দ কাজ। নামাজের মাধ্যমে যখন সেই অশ্লীল ও মন্দ কাজ দূরীভূত হবে তখন সমাজে আর অশান্তি থাকবে না। সুন্দর ও সুষ্ঠ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মানে নামাজের ভূমিকা অতুলনীয়। নামাজ মানুষ কে  সৎ কর্মের প্রতি উৎসাহিত করে থাকে এবং অসৎ কর্ম থেকে বিরত রাখে। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বান্দাহ আল্লাহর এমন  নৈকট্য লাভ করে যে আল্লাহ তায়ালা বলেন আমি বান্দাহর কান হয়ে যায়।আমি বান্দাহর চোখ হয়ে যায়। বান্দাহ যখন নামাজের মাধ্যমে নিজেকে  আল্লাহর প্রেমে বিভোর হয়ে যায় বান্দাহ তখন বলতে থাকে নিশ্চয় আমার নামাজ আমার কোরবানি আমার জীবন, আমার মরণ একমাত্র আল্লা...

ঈমান মহামূল্যবান সম্পদ

ছবি
    মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিশ্ববাসীর জন্য যে সমস্থ বিশেষ নিয়ামত দান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম ও মহামূল্যবান নিয়ামত হচ্ছে ঈমান। আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে মর্যাদাবান ঐ ব্যক্তি যার মাঝে আল্লাহর একাত্মবাদ ও বিশ্বনবী মোহাম্মদ ( সা:) এর প্রতি ঈমান বিদ্যমান।  ঈমান বিহীন ব্যক্তি দুনিয়াতে যতোই সম্মানের পাত্র হউক না কেন আল্লাহর কাছে তার কোন মূল্য নেই। আমরা কতো ই না সৌভাগ্যবান যে, আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদেরকে ঈমান নামক মহামূল্যবান সম্পদ  দান করেছেন। আবু জাহেল বিশ্বনবী মোহাম্মদ ( সা:) এর অতি নিকটাত্মীয় ছিলেন। নবী মোহাম্মদ ( সা:) কে দেখেছেন। রাসূল ( সা:) যে  আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশেষ নবী তার কাছে বিভিন্ন প্রমাণাদি ও ছিল। এমনকি সে জানতো মোহাম্মদ ( সা:) আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী হিসেবে এই দুনিয়াতে প্রেরিত হয়েছেন।  কিন্তু ঈমান আনা তার নসীব হয়ে উঠেনি।   একদা আবু জাহেল তার হাতের মুঠোয় কতগুলো পাথরের টুকরো নিয়ে বিশ্বনবী মোহাম্মদ ( সা:) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলতে লাগল,মোহাম্মদ!    আমার হাতের মুঠোয় কি আছে যদি বলতে পার তাহলে ...

সৌন্দর্যের প্রতীক মোহাম্মদ (সাঃ)

ছবি
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান মুসলীম জাতী কিভাবে জীবন পরিচালনা করবে,কিভাবে উন্নতি সাধন করবে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একটি ফর্মূলা প্রেরন করেছেন,আদর্শ পাঠিয়েছেন। যার অনুস্বরন অনুকরন করে মুসলমানরা নিজেদের জীবন গড়বে,আল্লাহ তায়ালা এ আদর্শ ও নমুনার জন্য শুধু দর্শন-ই দেননি বরং বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ ও রুপায়ন করে দেখানোর জন্য হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে প্রেরন করেছেন। মহাগ্রন্থ আলকুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, রাসূল(সা:) এর জীবন দর্শনে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ । (সূরা আহযাব আয়াত-২১)  আল্লাহ তায়ালা মোহাম্মদ (সা:)কে এত উত্তম বৈশিষ্ট ও গুনাবলী দিয়েছেন যা গননা করে শেষ করা যাবেনা । সর্বগুনে সেরা ছিলেন,মোহাম্মদ (সা:),হযরত আদম (আ:) এর পর দুনিয়ার বুকে আল্লাহ তায়ালা প্রায় এক লক্ষ মতান্তরে দুই লক্ষ পয়গাম্বর প্রেরন করেছেন। প্রত্যেক নবীর জন্য সময় ও কর্মক্ষেত্রের পরিধি ছিল নির্দিষ্ট । আবার একই সময়ে আবির্ভূত হয়েছেন একাধিক নবী।  কিন্তু হযরত মোহাম্মদ (সা:)কোন কালে কিংবা কোন দেশের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে প্রেরিত হননি বরং কিয়ামত পর্যন্ত তিনি সৃষ্টি কুলের সকল কিছু...

মাদক নির্মূলে প্রয়োজন ইসলামী বিধিবিধান চর্চা

ইসলামী বিধিবিধান চর্চার মাধ্যমে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান আজ মানবসভ্যতার চরম শত্রু হয়ে দাড়িয়েছে মাদক। মাদকের ভয়াল থাবায় আজ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে যুবসম্প্রদায়। তছনছ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। চুরি, ডাকাতি, হত্যা,ধর্ষন, সহ সকল কিছু ই হচ্ছে মাদকের জন্য।মাদকসেবীরা তাদের অর্থ জোগান দিতে এমন কোন অন্যায় ও গর্হিত কাজ নেই যে,তারা করছেনা। আমরা মুসলমান। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আর ইসলাম হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই আমাদের উচিৎ ইসলাম কি বলে সে অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করা। আর এটাই ঈমানের দাবি। ইসলাম মানব কল্যাণময় এক ধর্ম। আজকের পৃথিবীতে মাদকের ছড়াছড়ি তে  নিশ্চিহ্ন হয়ে মানব সভ্যতা  এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে ই ইসলাম মাদকের কুফল সম্পর্কে স্পষ্ট ঘোষণা প্রদান করেছে। মাদকদ্রব্যের আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে 'খমর '। যেসমস্ত বস্তু সেবনের ফলে মাদকতা সৃষ্টি হয় এবং বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে অথবা বিবেকবোধ শক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তাকে ইসলামের ভাষায় ' খমর' বা মাদক বলা হয়। মহাগ্রন্থ আলকোরআনে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, হে মুমিনগণ!...